Showing posts with label Story zone. Show all posts
Showing posts with label Story zone. Show all posts

Monday, December 19, 2016

Sad Story একটি রোহিঙ্গা পরিবারের আত্মকাহিনী ।

Riyad hossan BD
একটি রোহিঙ্গা পরিবারের আত্মকাহিনী ।
লেখকঃ Ra Na (SONRAN)

– মা, আমরা কোথায় যাচ্ছি?
– এইতো মা, ওপারে(বাংলাদেশে)! – ওরা কি
মারবে না মা?
– না মা, ওরা তোমার ভাই!
– আমাদের শরীরে আগুন দেবে না তো?
– না রে মা! ওরা তোর বাবার মতো। তোকে
আদর করবে। আর
খেলতে যখন ইচ্ছে হবে তোর, ঘুরতে নিয়ে
যাবে ঐ দূর মাঠে। .
.
গতরাত থেকে এত ঝড়-ঝাপটা গিয়েছে যে
কিছুই মনে ছিল না বাচ্চাটির। হঠাৎ তার
বাবার কথা মনে হল
যেন।
.
– মা গো! বাবা কোথায় আমার? দুদিন
ধরে দেখি না কেন বাবাকে?
.
অশ্রু জমে ওঠে মায়ের চোখে। মেয়ের মাথায়
হাত বুলিয়ে দেয়। কপালে এঁকে দেয় আলতো
চুমু – "তোর বাবা নতুন বাড়ি ঠিক করতে
গেছে মা।"
.
মা ঠিক জানে, মেয়ের বাবা আর ফিরবে
না কখনো। দু'দিন আগেই চলে গেছে না
ফেরার দেশে। তাঁর শেষ কথা ছিল - 'বাঁচতে
চাইলে আমার মেয়েকে নিয়ে পালাও।'
.
৭টি নৌকা এগিয়ে চলেছে সন্তর্পণে।
নাফ নদীর বুক চিরে। ঐ তো বাংলাদেশ!
.
হঠাৎ কিসের যেন শোরগোল। বিজিবি
ঘিরে ধরেছে নৌকা। ঢুকতে দেয়া যাবে না
এদের। "পুশব্যাক" করাতে হবে। উপরের
নির্দেশ।
.
এদিকে অভুক্ত, অসহায় নৌকার যাত্রীরা
উৎকন্ঠিত। ফিরিয়ে দেবে না তো? ইতিমধ্যে
নৌকার বুকে গুঞ্জন শোরগোলের রুপ
নিয়েছে। "আমাদের বাঁচতে দিন।" "আপনারা
তাড়িয়ে দিলে আল্লাহর দুনিয়ায়
আমাদের কোন স্থান থাকবে না হয়তো।"
.
এক বৃদ্ধাকে হাউমাউ করে কাঁদতে দেখা
গেল। এগিয়ে এলেন সেই মা। শুকিয়ে যাওয়া
চোখে টলমল করছে অশ্রু –
"আমরা ফিরে যাচ্ছি। কিন্তু দয়া করা আমার
বাচ্চাটিকে নিয়ে যান। ওকে বাঁচতে
দিন।"
.
বিনিময়ে নির্মম, কঠোর চাহনি ফিরে
পেলেন মা। কোলে তার সেঁটে যাওয়া ভীরু
সন্তান। নৌকা চললো ফের
আরাকানের দিকে।
.
.
"মা গো! আমরা কোথায় যাচ্ছি?" মা নীরব।
"ওরা কি আমার ভাই নয়? তুমি না বললে
ওরা
আমার বাবার মতো!"
.
মায়ের চোখে নিথর দৃষ্টি। চোয়াল শক্ত
করে বললেন, "তোর ভাইয়েরা মরে গেছে।
পৃথিবীর কোথাও তোর ভাই নেই।"
"বাবার নতুন বাড়ির কি হবে মা?" "আমরা সেই
বাড়িতেই যাচ্ছি মা। তোর
বাবার কাছে!"
.
.
টপটপ করে ঝরে পড়ছে অশ্রুমালা। মায়ের এ
অশ্রু শুকাবার নয়।

Thursday, February 4, 2016

My Youtube

PLZ SUBSCRIBE IT.. https://m.youtube.com/channel/UCmfJKmiQT5uAQ14E8vBTzug?

Saturday, December 5, 2015

My Personal impormtion

banner.png

Ami Riyad. Gmail & Facebook ID:- Riyadhossan721@gmail.com My wap site:- www.megh24.wapka.mobi www.nrtips.wapka.me www.majicnew123.wapka.mobi My youtube chennal:- www.youtube.com/riyad_hossan

Tuesday, August 4, 2015

[অবাক করা গল্প]

গল্পটি পড়ার অনুরোধ রইল. মেয়েটা খুব ভালবাসতো ছেলেটিকে । ছেলেটিও মেয়েটিকে ভালবাসতো তবে তা প্রকাশ করতে পারছিলনা দুজন দুজনাকে । তারা এক সাথে স্কুল জীবন থেকে শুরু করে কলেজে এ উঠেছে । খুব ভাল বন্ধুত্বের মাঝে দুজনের মনে প্রেম এসে বাসা বাধে । কিন্তূ তাদের অপ্রকাশিত প্রেম প্রকাশ করার একটিই ভয় ছিল যদি দুজনার বন্ধুত্ব নষ্ট হয়ে যায় যদি তাকে ছেড়ে চলে যায় এরকম ভয় ভীতি কাজ করত । এভাবে অনেকটা দিন কেটে যায় । কলেজ লাইফ শেষ করে দুজন দুজানার থেকে আলাদা হয়ে যাবে । কারন এদিকে মেয়েটির বাবা তার জন্য পাত্র দেখে ফেলেছে । মেয়েটি রাতে খুব কান্না করছিল । তার ভালবাসার মানুষটিকে ছাড়া অন্য কারো সাথে যদি বিয়ে হয়ে যায় তাহলে তো মারা যাবে । এভাবে সারাটা রাত মেয়েটি কাঁদে । সকালে ছেলেটিকে ফোন করে বলে মেয়েঃ তুমি কি আমার সাথে একটু দেখা করতে পারবে? ছেলেঃ কোথায় আসব? মেয়েঃ যেখানে আমরা বসে থাকতাম আগে ঠিক সেখানে । ছেলেঃ ঠিকাছে তুমি বসো আমি আসছি । ছেলেটি আর বেশি দেরি করল না । খুব তাড়াতাড়িই চলে এলো । এসে মেয়েটির পাশে বসে রইল । অনেকটাক্ষন দুজন চুপ করে থাকল । মেয়েটি কিছুক্ষন পর ছেলেটিকে একটি চিঠি হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলল এটা তোমার কাছে রেখে দাও আমার চলে যাওয়ার পর এটা পড়বে । এই বলে মেয়েটি সেখান থেকে উঠে আসে । ছেলেটি অপলক দৃষ্টিতে মেয়েটির দিকে চেয়ে রয় । ভেবেছিল আজ হয়তো মেয়েটি তাকে জড়িয়ে ধরে সত্যিই তার ভালবাসার কথাটি জানাবে আর তাকে জড়িয়ে ধরে খুব কাঁদবে । যখন মেয়েটি একটু দূর চলে যায় তখন ছেলেটি চিঠিটা খুলে পড়তে শুরু করল" আমি জানিনা কি করে তোমাকে কথাটি বলব । আমি এও জানিনা কথাটি বলা ঠিক হবে কিনা । তারপরও আমি আর পারছিনা । হ্যা আমি তোমাকে খুব ভালবেসে ফেলেছি । কিন্তূ বন্ধুত্বের জন্য এটা আর বলা হয়নি । কাল আমার বিয়ে হতে চলছে কিন্তূ আমি তোমাকে ছাড়া অন্য কাউকে আর মনে জায়গা দিতে পারব না । তাই আমি জানিনা আমার কি হবে তবে তোমাকে ছাড়া আর অন্য কাউকেই আমি ভালবাসতে পারব না । লেখাটি পড়া শেষ হওয়ার সাথে সাথে ছেলেটি মেয়েটির পিছনে দৌড়ে ছুটতে থাকে হঠাত্ একটি বিকট শব্দ শুনতে পেল ছেলেটি । দৌড়ে গিয়ে দেখল রাস্তার ওপাশে পড়ে আছে তার প্রিয়তমা । একটি ট্রাক মেয়েটিকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায় । আর মেয়েটির মৃত দেহটি পড়ে থাকে । ছেলেটি মেয়েটিকে কোলে তুলে নিয়ে অঝরে কাঁদতে লাগল । আর চিত্তকার করে বলতে লাগল তুমি কেন আমাকে একটি বারের জন্য বললে না যে আমি তোমাকে ভালবাসি কেন বললে না । তুমিই আমার সব কিছু আমার জীবন সাথি তাহলে দেখতে আমি তোমাকে কখনই ফিরিয়ে দিতাম না । ভালবাসা গুলো এমন কেন হয়?কেন এতোটা নিষ্ঠুর হয়? "তাই যাকে সত্যিই ভালবাসেন সেটা মনের মধ্যে লুকিয়ে না রেখে বলে দেওয়াই উচিত" ।।

একটি শিক্ষামূলোক গল্প

একটি শিক্ষামূলোক গল্প- এক বাদশার একটি বাগান ছিল। বাগানটি ছিল অনেক বড় এবং বিভিন্ন স্তর বিশিষ্ট। বাদশাহ একজন লোককে ডাকলেন। তার হাতে একটি ঝুড়ি দিয়ে বললেন, আমার এই বাগানে যাও এবং ঝুড়ি বোঝাই করে নানা রকম ফলমুল নিয়ে আস। তুমি যদি ঝুঁড়ি ভরে ফল আনতে পার আমি তোমাকে পুরস্কৃত করব। কিন্তু শর্ত হল,বাগানের যে অংশ তুমি পার হবে সেখানে তুমি আর যেতে পারবে না। লোকটি মনে করলো এটা তো কোন কঠিন কাজ নয়। সে এক দরজা দিয়ে বাগানে প্রবেশ করল। দেখল, গাছে গাছে ফল পেকে আছে। নানা জাতের সুন্দর সুন্দর ফল। কিন্তু এগুলো তার পছন্দ হল না। সে বাগানের সামনের অংশে গেল। এখানকার ফলগুলো তার কিছুটা পছন্দ হল। কিন্তু সে ভাবল আচ্ছা থাক সামনের অংশে গিয়ে দেখি সেখানে হয়ত আরো উন্নত ফল পাব, সেখান থেকেই ফল নিয়ে ঝুঁড়ি ভরব। সে সামনে এসে পরের অংশে এসে অনেক উন্নত মানের ফল পেল। এখানে এ সে তার মনে হল এখান থেকে কিছু ফল ছিড়ে নেই। কিন্তু পরক্ষণে ভাবতে লাগলো যে সবচেয়ে ভাল ফলই ঝুড়িতে নিবে। তাই সে সামনে এগিয়ে বাগানের সর্বশেষ অংশে প্রবেশ করল। সে এখানে এসে দেখল ফলের কোন চিহ্ন ই নেই। অতএব সে আফসোস করতে লাগল আর বলতে লাগল, হায় আমি যদি বাগানে ঢুকেই ফল সংগ্রহ করতাম তাহলে আমার ঝুড়ি এখন খালি থাকত না। আমি এখন বাদশাকে কি করে মুখ দেখাব। ঘটনা বর্ণনা করার পর শায়েখ গজালি (রহঃ) বলেন, বন্ধুগণ, বাদশাহ হলেন আল্লাহ, আর বাগানে প্রবেশ কারি লোকটি হল তুমি। আর ঝুড়ি দ্বারা উদ্দেশ্য হল তোমার আমলনামা। আর বাগান দ্বারা উদ্দেশ্য হল তোমার জীবন। বাগানের বিভিন্ন অংশ তোমার জীবনের বিভিন্ন ধাপ। আর তোমাকে নেক কাজের ফল ছিড়তে বলা হয়েছে, কিন্তু তুমি প্রতিদিনই ভাব, আগামী কাল থেকে ফল ছেড়া আরম্ভ করব। আগামী দিন আগামী দিন করতে করতে তোমার জীবনে আর আগামী দিন আসবে না। এভাবেই তুমি রিক্ত হস্তে মাওলার সামনে হাজির হবে। log.png

Saturday, July 25, 2015

একটি শিক্ষনীয় ঘটনা বলছি চাইলে ৫০ সেকেন্ড সময় ব্যায় করতে পারেন।

২০১২ সালে লন্ডনের একটি মসজিদে এক মৃত ব্যাক্তির জানাজা অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। জানাজায় অনেকের সাথে সেই মৃত্য ব্যাক্তিটির এক আত্মীয়ও এসেছিল। বয়স ঠিক ১৯/ ২০ হবে যুবক। কিন্তু ঐ আত্মীয় লোকটি জানাজা না আদায় করে কানে হেড ফোন দিয়ে গান শুনছিল। ঘটনাটি মসজিদের ইমাম সাহেবের চোখে পড়ল।সে ঐ যুবককে এটা করতে নিষেধ করল এবং বলল আল্লাহকে ভয় কর এবং যে মারা গেছে তার জন্য দোআ কর। কিন্তু যুবকটি সে লোকটি বলল এখনও তো আমি যুবক। আর এখন তো আমার আনন্দ ফুর্তি করার সময়।আল্লাহর পথে চলার জন্য তো বাকীটা জীবন এখনও পড়ে আছে। এমনবস্থায় ইমাম সাহেব ছেলেটিকে আর কিছু না বলে চলে গেলেন। এর বেশ কয়েকদিন পর সেই মসজিদে আরো একটি জানাজা নামাযের জন্য মৃত লাশ এলো। ইমাম সাহেব যখন লাশটির কাপড় সরিয়ে মুখ দেখতে গেল তখন তিনি বেশ অবাক হয়ে গেলেন। কেননা এই লাশটি হল সেই যুবক ব্যাক্তিটির যে কিনা কানে হেড ফোন দিয়ে তার সাথে কথা বলেছিল। মানুষের মৃত্যু এমন এক বিষয় যা কাউকে আগে থেকে বলে আসে না। ঘড়ির কাটা হয়তো ইচ্ছে করলে এদিক ওদিক করা যাবে কিন্তু আল্লাহর নির্ধারিত মৃত্যুর ফরমানা একসেকেন্ডও এদিক ওদিকে হবে না। সত্য আল্লাহ সুবাহানাআল্লাহ্ তা;আলা , সত্য হযরত মুহাম্মদ (সঃ) সত্য এই নিছক দূনিয়ার পরীক্ষা ক্ষেত্র, সত্য জান্নাত ও জাহান্নাম। মহান আল্লাহ আমাদের বুঝ দান করুন। আমরা যেন দূনিয়া থাকা কালীন তার পথে চলতে পারি এবং ঈমানের সাথে মৃত্যুবরন করতে পারি সেই তৌফিক দান করেন!

Monday, April 13, 2015

// কাজী নজরুল ইসলাম সৈনিক জীবন//

১৯১৭ খ্রিস্টাব্দের শেষদিকে নজরুল সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। প্রথমে কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামে এবং পরবর্তীতে প্রশিক্ষণের জন্য সীমান্ত প্রদেশের নওশেরায় যান। প্রশিক্ষণ শেষে করাচি সেনানিবাসে সৈনিক জীবন কাটাতে শুরু করেন। তিনি সেনাবাহিনীতে ছিলেন ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দের শেষভাগ থেকে ১৯২০ খ্রিস্টাব্দের মার্চ-এপ্রিল পর্যন্ত, অর্থাৎ প্রায় আড়াই বছর। এই সময়ের মধ্যে তিনি ৪৯ বেঙ্গল রেজিমেন্টের সাধারণ সৈনিক...১৯২২ খ্রিস্টাব্দের ১২ই আগস্ট নজরুল ধূমকেতু পত্রিকা প্রকাশ করে। এটি সপ্তাহে দুবার প্রকাশিত হতো। ১৯২০-এর দশকে অসহযোগ ও খিলাফত আন্দোলন এক সময় ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। এর পরপর স্বরাজ গঠনে যে সশস্ত্র বিপ্লববাদের আবির্ভাব ঘটে তাতে ধূমকেতু পত্রিকার বিশেষ অবদান ছিল। এই পত্রিকাকে আশীর্বাদ করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন, “ কাজী নজরুল ইসলাম কল্যাণীয়েষু, আয় চলে আয়রে ধূমকেতু। আঁধারে বাঁধ অগ্নিসেতু,...