Tuesday, August 18, 2015

লাইক কয়টা দিমু চিন্তা করতেছি

like my page @[981767915214816:]

Tuesday, August 4, 2015

[অবাক করা গল্প]

গল্পটি পড়ার অনুরোধ রইল. মেয়েটা খুব ভালবাসতো ছেলেটিকে । ছেলেটিও মেয়েটিকে ভালবাসতো তবে তা প্রকাশ করতে পারছিলনা দুজন দুজনাকে । তারা এক সাথে স্কুল জীবন থেকে শুরু করে কলেজে এ উঠেছে । খুব ভাল বন্ধুত্বের মাঝে দুজনের মনে প্রেম এসে বাসা বাধে । কিন্তূ তাদের অপ্রকাশিত প্রেম প্রকাশ করার একটিই ভয় ছিল যদি দুজনার বন্ধুত্ব নষ্ট হয়ে যায় যদি তাকে ছেড়ে চলে যায় এরকম ভয় ভীতি কাজ করত । এভাবে অনেকটা দিন কেটে যায় । কলেজ লাইফ শেষ করে দুজন দুজানার থেকে আলাদা হয়ে যাবে । কারন এদিকে মেয়েটির বাবা তার জন্য পাত্র দেখে ফেলেছে । মেয়েটি রাতে খুব কান্না করছিল । তার ভালবাসার মানুষটিকে ছাড়া অন্য কারো সাথে যদি বিয়ে হয়ে যায় তাহলে তো মারা যাবে । এভাবে সারাটা রাত মেয়েটি কাঁদে । সকালে ছেলেটিকে ফোন করে বলে মেয়েঃ তুমি কি আমার সাথে একটু দেখা করতে পারবে? ছেলেঃ কোথায় আসব? মেয়েঃ যেখানে আমরা বসে থাকতাম আগে ঠিক সেখানে । ছেলেঃ ঠিকাছে তুমি বসো আমি আসছি । ছেলেটি আর বেশি দেরি করল না । খুব তাড়াতাড়িই চলে এলো । এসে মেয়েটির পাশে বসে রইল । অনেকটাক্ষন দুজন চুপ করে থাকল । মেয়েটি কিছুক্ষন পর ছেলেটিকে একটি চিঠি হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলল এটা তোমার কাছে রেখে দাও আমার চলে যাওয়ার পর এটা পড়বে । এই বলে মেয়েটি সেখান থেকে উঠে আসে । ছেলেটি অপলক দৃষ্টিতে মেয়েটির দিকে চেয়ে রয় । ভেবেছিল আজ হয়তো মেয়েটি তাকে জড়িয়ে ধরে সত্যিই তার ভালবাসার কথাটি জানাবে আর তাকে জড়িয়ে ধরে খুব কাঁদবে । যখন মেয়েটি একটু দূর চলে যায় তখন ছেলেটি চিঠিটা খুলে পড়তে শুরু করল" আমি জানিনা কি করে তোমাকে কথাটি বলব । আমি এও জানিনা কথাটি বলা ঠিক হবে কিনা । তারপরও আমি আর পারছিনা । হ্যা আমি তোমাকে খুব ভালবেসে ফেলেছি । কিন্তূ বন্ধুত্বের জন্য এটা আর বলা হয়নি । কাল আমার বিয়ে হতে চলছে কিন্তূ আমি তোমাকে ছাড়া অন্য কাউকে আর মনে জায়গা দিতে পারব না । তাই আমি জানিনা আমার কি হবে তবে তোমাকে ছাড়া আর অন্য কাউকেই আমি ভালবাসতে পারব না । লেখাটি পড়া শেষ হওয়ার সাথে সাথে ছেলেটি মেয়েটির পিছনে দৌড়ে ছুটতে থাকে হঠাত্ একটি বিকট শব্দ শুনতে পেল ছেলেটি । দৌড়ে গিয়ে দেখল রাস্তার ওপাশে পড়ে আছে তার প্রিয়তমা । একটি ট্রাক মেয়েটিকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায় । আর মেয়েটির মৃত দেহটি পড়ে থাকে । ছেলেটি মেয়েটিকে কোলে তুলে নিয়ে অঝরে কাঁদতে লাগল । আর চিত্তকার করে বলতে লাগল তুমি কেন আমাকে একটি বারের জন্য বললে না যে আমি তোমাকে ভালবাসি কেন বললে না । তুমিই আমার সব কিছু আমার জীবন সাথি তাহলে দেখতে আমি তোমাকে কখনই ফিরিয়ে দিতাম না । ভালবাসা গুলো এমন কেন হয়?কেন এতোটা নিষ্ঠুর হয়? "তাই যাকে সত্যিই ভালবাসেন সেটা মনের মধ্যে লুকিয়ে না রেখে বলে দেওয়াই উচিত" ।।

একটি শিক্ষামূলোক গল্প

একটি শিক্ষামূলোক গল্প- এক বাদশার একটি বাগান ছিল। বাগানটি ছিল অনেক বড় এবং বিভিন্ন স্তর বিশিষ্ট। বাদশাহ একজন লোককে ডাকলেন। তার হাতে একটি ঝুড়ি দিয়ে বললেন, আমার এই বাগানে যাও এবং ঝুড়ি বোঝাই করে নানা রকম ফলমুল নিয়ে আস। তুমি যদি ঝুঁড়ি ভরে ফল আনতে পার আমি তোমাকে পুরস্কৃত করব। কিন্তু শর্ত হল,বাগানের যে অংশ তুমি পার হবে সেখানে তুমি আর যেতে পারবে না। লোকটি মনে করলো এটা তো কোন কঠিন কাজ নয়। সে এক দরজা দিয়ে বাগানে প্রবেশ করল। দেখল, গাছে গাছে ফল পেকে আছে। নানা জাতের সুন্দর সুন্দর ফল। কিন্তু এগুলো তার পছন্দ হল না। সে বাগানের সামনের অংশে গেল। এখানকার ফলগুলো তার কিছুটা পছন্দ হল। কিন্তু সে ভাবল আচ্ছা থাক সামনের অংশে গিয়ে দেখি সেখানে হয়ত আরো উন্নত ফল পাব, সেখান থেকেই ফল নিয়ে ঝুঁড়ি ভরব। সে সামনে এসে পরের অংশে এসে অনেক উন্নত মানের ফল পেল। এখানে এ সে তার মনে হল এখান থেকে কিছু ফল ছিড়ে নেই। কিন্তু পরক্ষণে ভাবতে লাগলো যে সবচেয়ে ভাল ফলই ঝুড়িতে নিবে। তাই সে সামনে এগিয়ে বাগানের সর্বশেষ অংশে প্রবেশ করল। সে এখানে এসে দেখল ফলের কোন চিহ্ন ই নেই। অতএব সে আফসোস করতে লাগল আর বলতে লাগল, হায় আমি যদি বাগানে ঢুকেই ফল সংগ্রহ করতাম তাহলে আমার ঝুড়ি এখন খালি থাকত না। আমি এখন বাদশাকে কি করে মুখ দেখাব। ঘটনা বর্ণনা করার পর শায়েখ গজালি (রহঃ) বলেন, বন্ধুগণ, বাদশাহ হলেন আল্লাহ, আর বাগানে প্রবেশ কারি লোকটি হল তুমি। আর ঝুড়ি দ্বারা উদ্দেশ্য হল তোমার আমলনামা। আর বাগান দ্বারা উদ্দেশ্য হল তোমার জীবন। বাগানের বিভিন্ন অংশ তোমার জীবনের বিভিন্ন ধাপ। আর তোমাকে নেক কাজের ফল ছিড়তে বলা হয়েছে, কিন্তু তুমি প্রতিদিনই ভাব, আগামী কাল থেকে ফল ছেড়া আরম্ভ করব। আগামী দিন আগামী দিন করতে করতে তোমার জীবনে আর আগামী দিন আসবে না। এভাবেই তুমি রিক্ত হস্তে মাওলার সামনে হাজির হবে। log.png