Friday, September 18, 2015

কিভাবে বুজবেন আপনার পিসি ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে ?

বন্ধুরা সবাই ক্যামন আছেন আশাকরি ভাল , আপনারা তো আর আমাকে জিজ্ঞেস করেন না যাই হক আমিও আপনাদের দোয়াই খুব ভাল আছি । যাই হক মূল কথাই আসা যাক আজকে আমি আপনাদের সাথে পিসি ভাইরাস নিয়ে কিছু কথা লিখবো । আমি জানি অনেকে ভাবছেন ভাইরাস সম্পর্কে আর কি জানবো তবে আমি বলে তাহলে এই পোস্ট আপনার জন্য না আমার এই পোস্ট সুধু মাত্র তাদের জন্য যারা পিসি সম্পর্কে একেবারে নতুন ঠিক আমার মতো এই পোস্ট সধু মাত্র তাদের জন্য । তাহলে আর দেরি না করে চলুন দেখে নিন পিসিতে ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার কিছু লক্ষণ । মানুষের যেমন বিভিন্ন রোগ বালাই হয় ঠিক তেমনি পিসি এর ক্ষেত্রেও এর বিকল্প কিছু না এটাও এক ধরনের রোগ বলতে পারেন । আর এই রোগ সেই ধরতে পারে যে পিসির সাথে ঘনিষ্ঠতা বজাই রাখে এবং সেই এক মাত্র বুজতে পারে পিসি টি সুন্থ আছে না অসুস্থ । একটি পিসি কে ভাইরাস আক্রমন করেছে কিনা সেটা আমারা অনেকে মোটা মোটি আন্দাজ করতে পারনি আবার অনেকে করতে পারিনা । যাই হক পিসি কে ভাইরাস আক্রমন করলে আমার কিছুটা কাজের হের ফের হতে দেখি । একটি পিসি কে ভাইরাস আক্রমণ করে যেসকল লক্ষণ গুলো ধরা পড়ে নীচে স্টেপ বাই স্টেপ দেখে ও বুঝে নিন …। ১// প্রথমত যেটা কারণ তাহল – আগের তুলনাই কম্পিউটার চালু হতে অনেক সময় নিবে । ২// যেকোনো ফাইল এমনি উধাও হয়ে যাওয়া বা না পরিবর্তন হয়ে যাওয়া । ৩// ড্রাইভের নাম পরিবর্তন হয়ে যাওয়া । ৪// COM এবং EXE ফাইল আকার কোন কারণ চাড়াই বেড়ে যাওয়া । ৫// স্ক্রীন এ অদ্ভুত কিছু হাস্যকর ফাইল দেখা । ৬// অস্বাভাবিক এরর সংকেত প্রদর্শিত হওয়া । ৭// স্ক্রীন এ অপ্রত্যাশিত শব্দ অথবা ছদি দেখতে পাওয়া । ৮// নিজে নিজে সিস্টেম এর সময় , তারিখ পরিবর্তন হওয়া । ৯// ডিস্ক এ ব্যাড সেক্টর বেড়ে যাওয়া । তার কারণ কিছু ভাইরাস তাদের নিজেকে লুকানোর জন্য তাদের অবস্থান কে ব্যাড সেক্টর হিসাবে মার্ক করে দেয় যাতে করে অপারেটিং সিস্টেম বা অন্য কোন প্রোগ্রাম সেখানে না প্রবেশ করতে পারে গুমবিডি ডট কম এর মত। ১০// সাধারন যেকোনো কাজেও ডিস্ক এক্সিস ( Access ) সময় বেড়ে যাওয়া । ১১// যেকোনো ফাইল সেভ বা প্রিন্ট করতে অনেক সময় নেওয়া । ১২// হার্ড ডিস্ক এর পার্টিশন নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারনে হার্ড ডিস্ক এ থাকা সব ডেটা হারিয়ে যাওয়া । ১৩// অহেতুক মেমোরি সাইজ কমিয়ে কোন প্রোগ্রাম চালনা ব্যাহত করা । যেমন ঃ Out of Memory বা Insufficient Memory ম্যাসেজ দেওয়া । ১৪// কম্পিউটার এর কাজ আসতে আসতে ধির হয়ে যাওয়া । ১৫// প্রোগ্রাম এর মেনু , লিস্ট , অপশন ইত্যাদি অংশ গুলি ঠিক মতো খুজে না পাওয়া । ১৬// কাজ করতে করতে হটাত হ্যাং হয়ে যাওয়া , কখুন অটো রিস্টার্ট নেওয়া বা সাটডাওন ( Shutdown ) হয়ে যাওয়া । ১৭// অনেক অনেক সময় BIOS এর প্রোগ্রাম কে সম্পূর্ণ মুছে ফেলে পিসি কে পুরো পুরি ভাবে অক্ষম বা অচল করে দেওয়া । ১৮// পিসি এর বিভিন্ন ফোল্ডার এর মধ্যে উক্ত ফোল্ডারের নাম এর শেষে .EXE এক্সটেনশনযুক্ত ফোল্ডার পাওয়া । ১৯// ইমেজ ফাইল সমূহের সাইজ নিজে নিজে একেবারে কমে গিয়ে কয়েক KB তে পরিণত করা এবং তার ফলে সেই ফাইল টি আর ওপেন বা চালু না হওয়া । ২০// ফাইল এর কিছু অংশে অবাঞ্ছিত ম্যাসেজ প্রদর্শিত হওয়া। কি আশাকরি বুজতে পারনেন কম্পিউটার কে ভাইরাস আক্রমন করলে ঠিক কি কি লক্ষণ দেখা যাই । আশাকরি এবার থেকে নিজেই বুজতে পারবেন আপনার কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত কিনা । Note: কিভাবে এটাকে প্রতিরোধ করবেন উৎসাহ পেলে আগামি পোষ্টে প্রকাশ করবো।

অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়া ল্যাপটপ ঠাণ্ডা রাখারউপায

কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়া খারাপ লক্ষন। এটা মোটেও কম্পিউটারের জন্য ভালো নয় । অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়ার কারনে আপনার কম্পিউটার ক্রাশ করতে পারে এবং স্থায়ীভাবে আপনার হার্ডওয়্যার নষ্ট হয়ে জেতে পারে । ল্যাপটপকে ঠাণ্ডা রাখা মানে হল ল্যাপটপের পর্যাপ্ত গরম হাওয়া বের হয়ে দেওয়া । যদি গরম হাওয়া বের হতে না পারে, তাহলেই আপনি এই সমস্যায় জর্জরিত হবেন ! আপনার ল্যাপটপ যখন অন থাকবে, নিশ্চিত হয়ে নিবেন যে ল্যাপটপের গরম হাওয়া ঠিক ভাবে বের হতে পারছে । কখনই ল্যাপটপ বালিশের উপর অথবা নরম কোন বস্তুর উপর রাখবেন না, যদিও আমি এখন বিছানার উপর ল্যাপটপ রেখে পোস্টটি লিখছি , তবে আপনারা এই কাজটি করবেন না । আর সবচেয়ে বড় কথা হল, কখনই ল্যাপটপ অন/ স্লীপ/ হিবেরনেট অবস্থায় ব্যাগে রাখবেন না। আপনি ল্যাপটপ কুল্যার কিনতে পারেন। এর দাম আমার সঠিক জানা নেই । তবে ডলার এর হিসাবে ৮ থেকে ৪০ ডলার হত্তে পারে । আপনার পিসি তে যদি ময়লা জমে, তাহলেও এই সমস্যা হতে পারে । এবং এই সমস্যা ল্যাপটপ পরিস্কার করার মাধ্যমে সমাধান করতে পারেন । যদি মনে করেন আপনার ল্যাপটপে ময়লা জমেছে তবে এভাবে চেষ্টা করুন – ১. প্রথমে আপনার ল্যাপটপ বন্ধ করুন । ২. স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে ল্যাপটপএর ব্যাক সাইডটি খুলুন। ৩. যদি কোন ময়লা দেখেন তবে যত্নসহকারে পরিস্কার করুন ।

কম্পিউটারকে এই ১০ ভাইরাস থেকে দূরে রাখুন!

ক্লিকের আমি, ক্লিকের তুমি, ক্লিক দিয়ে যায় চেনা। চেনা তো যায়, কিন্তু মাঝে মধ্যে অচেনা লিঙ্কে ক্লিক করার ফল কতটা মারাত্মক হতে পারে সেটা যিনি ভুগেছেন তিনিই একমাত্র জানবেন। এমন অনেক ভাইরাস আছে, যা একবার ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের সিস্টেমে ঢুকে গেলে নতুন কম্পিউটার কেনাটাই বোধ হয় বেশি সহজ। বাড়ির ছাপোষা কম্পিউটার থেকে হোয়াইট হাউজের সুপার কম্পিউটার— কেউই এই সব ভাইরাসের হাত থেকে রেহাই পায়নি। এক নজরে দেখে নিন সেই সব ভাইরাসের তালিকা। আর হ্যাঁ, বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণটা আরও একবার মনে করিয়ে দিচ্ছি আমরা, ভুল করেও কোনো অচেনা লিঙ্কে ক্লিক করবেন না। ১) IloveYou: কী সুন্দর নাম! অথচ এর প্রভাব কতটা ভয়ানক তা টের পাওয়া গিয়েছিল ২০০০ সালে। প্রথম দেখা গিয়েছিল ফিলিপিন্সে। নিমেষের মধ্যে বিশ্বের মোট কম্পিউটারের ১০ শতাংশ একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছিল। মোট ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৫০০ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি। ২) My Doom: ইতিহাসে এর থেকে ভয়ঙ্কর ভাইরাস নাকি জন্মায় নি! প্রথমবার দেখা গিয়েছিল ২০০৪ সালে ২৬ জানুয়ারি। ই- মেল মারফত সারা বিশ্বে ছড়িয়ে যায়। এর অন্য একটি নামও রয়েছে, Novarg. প্রায় ২০ লাখ কম্পিউটার এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছিল। এর ফলে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩ হাজার ৮০০ কোটি মার্কিন ডলার। ৩) Sobig F: এই ভাইরাস আপনার কম্পিউটারের নিপাট ভদ্রলোক সেজে এসে দাঁড়াবে এবং আপনার কাছেই ঢোকার অনুমতি চাইবে। অর্থাত্ স্প্যাম মেল হিসাবে ঢুকেও আপনাকে এটা বোঝাবে যে সে একটি সঠিক অ্যাড্রেস থেকে এসেছে। এ ভাবেই ২০০৩-এ ২০ লাখ সিস্টেমের বারোটা বাজিয়েছিল। কম্পিউটারে ঢোকার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিজের ১০ লক্ষ কপি তৈরি করে ফেলে এই ভাইরাস। ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি টাকার ক্ষতি করেছিল এই ভাইরাস। ৪) Code Red: ইনি হোয়াইট হাউসের কম্পিউটারকেও নাচিয়ে ছেড়েছেন। ২০০১-এর ১৩ জুলাই এটি প্রথম দেখা যায়। মাইক্রোসফ্ট ইন্টারনেট ইনফর্মেশন সার্ভারের একটি খুঁতকে কাজে লাগিয়ে ৪ লাখ সার্ভারকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এটি। বিশ্বজুড়ে ক্ষতির পরিমাণ ছিল ২৫০ কোটি মার্কিন ডলার। ৫) SQL Slammer: ২০০৩-এ প্রথম দেখা যায়। মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে ৭৫ হাজার সার্ভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ব্যাঙ্ক অফ আমেরিকা থেকে 911 সার্ভিস সবই প্রভাবিত হয়েছিল এর জন্য। মোট ক্ষতির পরিমাণ ছিল ১২০ কোটি মার্কিন ডলার। ৬) Melissa: অন্যতম সাঙ্ঘাতিক তাতে কোনও সন্দেহ নেই। ১৯৯৯ সালে ২৬ মার্চ প্রথম লক্ষ্য করা যায়। প্রথম মাস-মেইলার মাইক্রোভাইরাস। খুব কম সময়ের মধ্যে ৬০ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতি করেছিল এটি। FBI এর সৃষ্টিকর্তা ডেভিড স্মিথ- কে ধরার জন্য আকাশ-পাতাল এক করে ফেলেছিল। ৭) Chernobyl: এটি প্রথম দেখা যায় তাইওয়ানে। এটি কম্পিউটারে ঢুকে Flash BIOS Chip টি এফেক্ট করে এবং সেটি কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এর জন্য বিশ্ব জুড়ে প্রায় ২৫ কোটি মার্কিন ডলারের ক্ষতি হয়। ৮) Storm Worm: ২০০৭-এ বিশ্বের প্রচুর কম্পিউটার ব্যবহারকারী একটি মেইল পেয়েছিলেন। ওতে লেখা ছিল ইউরোপে ঝড়ের কারণে ২৩০ জন মারা গিয়েছেন। যারা এই মেইলটি ক্লিক করে খুলেছিলেন, তাদের কম্পিউটার আর ঠিক করা যায়নি। এক কোটি কম্পিউটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বিশ্ব জুড়ে। ক্ষতির হিসাব করা যায়নি। ৯) Conflicker: ২০০৯-এ আবিষ্কার হয় এটি। দেড় কোটি উইন্ডোজ সিস্টেমের বারোটা বাজিয়েছিল এটি। শুধুমাত্র কম্পিউটারই নয়, পেন ড্রাইভ, স্মার্টফোন, এক্সটার্নাল হার্ডডিস্ক সব কিছুর মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে এটি। ফায়ারওয়াল প্রোটেকশন ভলো না হলে কম্পিউটারের যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিমেষে কপি করে ফেলতে ওস্তাদ। ১০) Nimda: অ্যাডমিট কথাটি উল্টো করে লিখলে এই ভাইরাসটি দেখতে পাবেন। ৯/১১-এর এক সপ্তাহ পরে এই ভাইরাসটি বিশ্বজুড়ে মাত্র ২২ মিনিটের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। কম্পিউটারের যাবতীয় তথ্য, ফাইল ট্রান্সফার এবং শেয়ার্ড ফোল্ডারের ইতিহাস নিমেষে চুরি করে ফেলতে পারে এটি। অনেকে বিশ্বাস করেন, এটি সাইবার টেরর অ্যাটাকেরই একটা অঙ্গ হিসাবে কাজ করেছিল।

গুগল ম্যাপ এডিট করতে শিখুন, দেশের জন্য অবদান রাখুন।

গুগল ম্যাপ। ডিজিটাল যোগাযোগ ব্যবস্থার এক অনন্য নাম ! জিপিএস ছাড়া উন্নত বিশ্বের দৈনন্দিন জীবন অচল। কিন্তু আমাদের দেশে অবহেলিত! দেশের ডিজিটাল ম্যাপিং এর অবস্থা খুব করুন। অনেক দেশে শুধু ব্যবহারকারীদের অবদানের জন্য নগরীগুলো ডিজিটাল ম্যাপিং এর সবোর্চ্চ শিখরে পৌছেছে। কিন্তু আমাদের দেশে কনট্রিবিউটর খুব কম। চলুন আমরা সবাই দেশকে ডিজিটাল বানাতে অবদান রাখি, আর শিখে ফেলি কিভাবে ম্যাপ এডিট করতে হয়। টিউটোরিয়ালঃ গুগল ম্যাপ এডিট খুব সহজ কাজ! নেট ব্যবহার করতে জানেন এমন কেউ আলাদা কোন প্রশিক্ষণ ছাড়াই গুগল ম্যাপে অবদান রাখতে পারবেন। 1. প্রথমে আপনার একটি জিমেইল একাউন্ট বা গুগল একাউন্ট লাগবে। একাউন্ট না থাকলে এখান থেকে তৈরী করে নিন । 2. এবার গুগল ম্যাপ এডিটের এই লিংকে প্রবেশ করুন। যেভাবে নতুন রাস্তা বানাবেনঃ ধরুন আপনার বাসার পাশের রাস্তাটি গুগল ম্যাপে নেই, কিন্তু আপনি অ্যাড করে দিতে চাচ্ছেন। নিচে স্যাটেলাইট ভিউ থেকে একটি রাস্তা দেখা যাচ্ছে যেটি ম্যাপে নেই (আমরা অ্যাড করে দেব) এই রাস্তাটি বানাতে প্রথমে Add new থেকে Draw a Line এ ক্লিক করুন। প্রয়োজনে জুম করে নিন। এরপর Select Category থেকে Road সিলেক্ট করুন। মাউস দিয়ে ক্লিক করে করে রোড বানান। সিলেক্ট করা হলে কিবোর্ডের Enter বাটন চাপুন। (1) নং ঘরে রোড এর নাম দিয়ে (2.) Save করুন ! বিঃদ্রঃ রাস্তাটি আকার সময় তা অন্য কোন রাস্তার সাখে মিলে গেছে (intersection) সেখানে মিলিয়ে দেবেন। একটা রাস্তরি উপর দিয়ে আরেকটা একে লম্বা বানাতে যাবেন না দয়া করে। আর রাস্তাগুলো ঠিক ঠাক মত অন্য রাস্তাতে গিযে মিলছে কি না সে ব্যাপারে নজর দেবেন! নিজের নামে কোন রাস্তা বানাবেন না, এটি নিষিদ্ধ) আমাদের সাথেই থাকুন, ভাইরে এত কষ্ট করে টপিক লিখি, কেও যদি Copy করেন। Creadit টা দিয়েন।ধন্যবাদ

Friday, September 4, 2015

আমার নিজের তৈরি সপ্টাওয়ার

Tags
ডাউনলোড লিক্ন। copy করে পেষ্ট করুন http://files.appsgeyser.com/NRTRICK apk?dl=true

ল্যাপটপকে সুস্থ রাখার জন্য ১০ টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মেনে চলুন

দৈনন্দিন জীবনে কম্পিউটার এখন অতি প্রয়োজনীয় একটি বস্তু। কয়েক বছর আগেও ডেস্কটপ কম্পিউটারের চাহিদা ছিল প্রচুর। কিন্তু গত কয়েক বছরে ডেস্কটপের জায়গা দখল করে নিয়েছে ল্যাপটপ। ব্যক্তিগত কাজে কম্পিউটার ব্যবহারের জন্য সকলেরই প্রথম পছন্দ এখন ল্যাপটপ। এই পছন্দের প্রথম কারণটি হচ্ছে এর বহনযোগ্যতা এবং দ্বিতীয় কারণটি হচ্ছে এর ব্যাটারি ব্যাকআপ। আপনি অনেক ঘুরে ফিরে, খোঁজ খবর নিয়ে, ব্র্যান্ড পছন্দ করে একটি ল্যাপটপ কিনলেন। কিন্তু সচেতনতা ও যত্নের অভাবে আপনার পছন্দের ল্যাপটপটি যদি রোগ বাঁধিয়ে হয়ে পড়ে অসুস্থ? আসুন জেনে নিই সাধের ল্যাপটপের রোগ প্রতিরোধ এবং সুস্থ রাখার জন্য কী কী করতে পারেন আপনি। মেনে চলুন কিছু সহজ নিয়ম আর শখের ল্যাপটপকে রাখুন চির নতুন। ১. স্ক্রিন প্রটেক্টর প্রথমে ‘স্ক্রিন প্রটেক্টর’ ও ‘কি-বোর্ড প্রটেক্টর’ এই দুটি জিনিস অবশ্যই কিনে নিন। ‘স্ক্রিন প্রটেক্টর’ হচ্ছে আমরা টাচ স্ক্রিন মোবাইল ফোনে যে স্ক্রিন প্রটেক্টর ব্যবহার করি, সেই একই জিনিস। এটি ব্যবহারে আপনার ল্যাপটপের স্ক্রিনে কোনো দাগ লাগবে না, যদি কোনো দাগ বা ছোটখাটো আঘাত লাগে সেটি লাগবে প্রটেক্টরের ওপর। আপনার মূল স্ক্রিন থাকবে দাগমুক্ত। এটির দাম পড়বে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। ২. কিবোর্ড প্রটেক্টর ‘কি-বোর্ড প্রটেক্টর’ হচ্ছে স্বচ্ছ রবারের একটি পর্দার মতো। এটি ব্যবহারে আপনার ল্যাপটপের কি-বোর্ড থাকবে নিরাপদ ও ধুলোমুক্ত। প্রায়ই আমাদের ল্যাপটপের কি- বোর্ড ধূলায় আক্রান্ত হয় এবং পরিষ্কার করতে সমস্যা হয়। আর এটি ব্যবহারের আরেকটি সুবিধা আছে। ধরুন আপনি ল্যাপটপে কাজ করছেন এবং চা-কফি খাচ্ছেন। বেখায়ালি হবার কারণে গ্লাসটি বা কাপটি উল্টে পড়লো আপনার ল্যাপটপের কি-বোর্ডের ওপর। ব্যাস, হলো তো ঝামেলা! ‘কি-বোর্ড প্রটেক্টর’ ব্যবহার করলে এই সমস্যাটি হবে না। কারণ এটি ব্যবহার করলে কি-বোর্ডে জল, চা, কফি কিছুই ঢুকতে পারবে না। ৩. কুলিং ফ্যান ল্যাপটপে অনেক ছোট পরিসরে কম্পিউটারের প্রয়োজনীয় মাদারবোবোর্ড, প্রসেসর, র্যাম, হার্ডডিস্ক এবং অন্যান্য সবকিছুই থাকে। সে কারণে কাজ করতে করতে ল্যাপটপ কিছুটা গরম হবে এটাই স্বাভাবিক। এটির সমাধান হচ্ছে কুলিং ফ্যান। কুলিং ফ্যানের ওপর ল্যাপটপ রেখে ব্যবহার করলে ল্যাপটপ গরমও কম হবে এবং ল্যাপটপের ব্যাটারি লাইফও বাড়বে। ৪. ভেন্টিলেটর পরিষ্কার ল্যাপটপের ব্যাকসাইডে এবং পাশে বাতাস চলাচলের জন্য যে ভেন্টিলেটরগুলো থাকে, সেগুলো সবসময় পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করুন। এতে করে আপনার ল্যাপটপের ভেতরের কুলিং ফ্যান ধূলামুক্ত থাকবে এবং সঠিকভাবে কাজ করতে পারবে। ৫. বিছানা বা বালিশের উপরে ব্যবহার করবেন না বিছানা বা বালিশের ওপর রেখে কখনো ল্যাপটপ ব্যবহার করবেন না। এটি করলে ল্যাপটপের চেম্বারে খুব দ্রুত গরম বাতাস তৈরি হয় এবং তা ভেন্টিলেটর দিয়ে বের হতে পারে না। প্রতিনিয়ত এমনটি ঘটতে থাকলে যেকোনো দিন আপনার ল্যাপটপ কোমায় চলে যেতে পারে। তবে ভালো মানের কুলিং ফ্যান ব্যবহার করলে আপনি বিছানায় বসেও ল্যাপটপ ব্যবহার করতে পারবেন। ৬. বিদ্যুৎ সংযোগে সতর্কতা অবলম্বন ল্যাপটপে বিদ্যুতের সংযোগ দেবার সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন। বৈদ্যুতিক বোর্ডের সুইচ অন থাকা অবস্থায় ল্যাপটপের প্লাগ ঢোকাবেন না এবং হঠাৎ করে অ্যাডাপ্টারের তারটি খুলেও ফেলবেন না। এতে করে ল্যাপটপের পাওয়ার কানেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত হবার সম্ভাবনা থাকে। ৭. চার্জ নিঃশেষ করুন সব সময় বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে ল্যাপটপ ব্যবহার করবেন না। সপ্তাহে অন্তত দু’বার আপনার ল্যাপটপের ব্যাটারির চার্জ শেষ করুন। হঠাৎ বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অথবা বাইরে ব্যবহার করলে ল্যাপটপের চার্জ হয়তো ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ শেষ হয়। কিন্তু চার্জ নিঃশেষ না হলে ব্যাটারির সবগুলো ‘সেল’ ব্যবহার হয় না। সবগুলো ‘সেল’ ব্যবহার না হলে ব্যাটারি তার সম্পূর্ণ কার্যক্ষমতা প্রদর্শন করতে পারে না। ৮. সফটওয়্যার ইনস্টল আপনার ল্যাপটপে হয়তো এমন অনেক সফটওয়্যার ইনস্টল করা আছে যেগুলো আপনি কখনও ব্যবহারই করেন নি। এমন সফটওয়্যারগুলো আনইনস্টল করে দিন এবং অপ্রয়োজনীয় কোনও সফটওয়্যার ইনস্টল করবেন না। এতে করে আপনার ল্যাপটপের অপারেটিং সিস্টেমের ওপর চাপ কম পড়বে এবং গতি কিছুটা বাড়বে। প্রয়োজনে কোনও ক্লিনার চালিয়ে রান করে নিন। ৯. অ্যান্টিভাইরাস আপনি যদি ইন্টারনেট ব্যবহার করেন তাহলে অবশ্যই লাইসেন্সড অ্যান্টি-ভাইরাস ব্যবহার করুন। তাহলে আপনার ল্যাপটপ ভাইরাসের হাত থেকে মুক্ত থাকবে। ইন্টারনেটে যেসব ফ্রি অ্যান্টি-ভাইরাস পাওয়া যায় সেগুলো ভাইরাস রুখতে ক্ষেত্রে আংশিক কাজ করে, পুরোপুরি নয়। ১০. স্ক্রিনের রেজোলিউশন আপনি যখন ল্যাপটপ ব্যাটারিতে চালাবেন তখন স্ক্রিনের রেজোলিউশন যথাসম্ভব কমিয়ে রাখুন। এতেও আপনার ব্যাটারি লাইফ বৃদ্ধি পাবে। অর্থাৎ ব্যাটারিতে চলার সময় কম রেজোলিউশনে ল্যাপটপ ব্যবহার করলে ব্যাপআপ টাইম বেশি পাবেন। এই নিয়মগুলো মেনে চলুন এবং আপনার ল্যাপটপকে রাখুন সুস্থ।